বার্সেলোনার এই চার জয়ের সর্বশেষটি এল পরশু। বার্সেলোনাকে হুঁশিয়ার করে ন্যু ক্যাম্পে এসে রিয়াল সোসিয়েদাদ উড়ে গেল ৫-০ গোলে। এই জয়ের পর বার্সেলোনা কোচ গার্দিওলাই বলেছেন, ‘আমরা ঠিক জানি না এই দলটা কী করতে চলেছে! এটা সাধারণত এক বা দুটি ম্যাচে ঘটতে পারে। কিন্তু এখন এটি ঘটছে সব সময়!’
বার্সেলোনার মতো অন্যস্তরের ফুটবল খেলতে না পারলেও ভালো খেলছে রিয়াল মাদ্রিদও। বার্সেলোনার সঙ্গে এল ক্লাসিকোর ফলটা বাদ দিলে এ মৌসুমে হোসে মরিনহোর দলকেও দুর্দমনীয় বলতে হয়। স্প্যানিশ লিগে বার্সেলোনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীরা পরশু রিয়াল জারাগোজার মাঠ থেকে ফিরেছে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে।
অন্য স্তরের খেলোয়াড়দের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলতে হবে লিওনেল মেসিকেই। গত চার ম্যাচে বার্সেলোনা করেছে ২১ গোল, এর ৭টিই আর্জেন্টাইন তারকার। আলমেরিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন, এল ক্লাসিকোয় গোল না পেলেও পরের ম্যাচেই ওসাসুনার বিপক্ষে জোড়া গোল করে দলকে জিতিয়েছেন। সোসিয়েদাদের বিপক্ষেও গোল ‘হয় না হয় না’ করতে করতেও দুর্দান্ত দুটি গোল পেয়ে গেলেন।
বার্সার মেসি আর রিয়ালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ছুটছেন সমান্তরালে। পরশু একটি গোল করেছেন রিয়ালের পর্তুগিজ এই উইঙ্গারও। রিয়াল-বার্সার শিরোপা লড়াই যেমন জমে উঠেছে, তেমনই জমজমাট মেসি-রোনালদো দ্বৈরথও। স্প্যানিশ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় দুজনই এখন পাশাপাশি। সমান ১৭টি করে গোল করেছেন দুজনই।
দুই দলের দুই কোচও মেতেছেন তাঁদের সেরা খেলোয়াড়ের বন্দনায়। রোনালদোকে নিয়ে রিয়াল কোচ মরিনহো বলেছেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো একজন ফেনোমেনন খেলোয়াড়। যে মাঠেই যায়, ও সেই মাঠই মাতিয়ে আসে।’
রোনালদো জারাগোজার মাঠ মাতিয়ে এসেছেন ঠিক, কিন্তু রিয়াল বার্সেলোনার মতো প্রতিপক্ষকে ছিঁড়েখুঁড়ে শেষ করে দিতে পারেনি। অনেকটা শ্রমসাধ্য জয় নিয়েই ফিরতে হয়েছে তাদের। জার্মানির মেসুত ওজিলের ১৫ মিনিটের গোলের পর ৪৪ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে ব্যবধান ২-০ করেন রোনালদো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করেছেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। পেনাল্টি থেকে একটি গোল শোধ করে জারাগোজা।
বার্সাকে তাতিয়ে দিয়ে ন্যু ক্যাম্পে নেমে এই রাতে ৯ মিনিটেই প্রথম গোল খায় সোসিয়েদাদ। গোলটি করেন ভিয়া। ৩৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইনিয়েস্তা। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা মিনিট দুই না পেরোতেই গোল করেন মেসি। খেলা শেষের মিনিট তিনেক আগে মেসি করেন তাঁর দ্বিতীয় গোল। আর বদলি বোজান কিরকিচ শেষ মুহূর্তে করেন ৫-০।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চেলসি আটকে গেছে টটেনহাম হটস্পারে। টটেনহামের মাঠে পাভলিউচেঙ্কোর গোলে পিছিয়ে পড়া চেলসির জন্য ড্র করতে পারাটাই ছিল অনেক। ৭০ মিনিটে দিদিয়ের দ্রগবা গোল পেয়ে যান টটেনহাম গোলরক্ষক গোমেজের ভুলে। শট ফিস্ট করতে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। এরপর এই গোমেজই হয়েছেন নায়ক আর দ্রগবা হয়ে যান চেলসির খলনায়ক। দ্রগবার পেনাল্টি ঠেকিয়ে স্পারদের ড্র এনে দিয়েছেন গোমেজ।
চেলসি কোচ কার্লো আনচেলত্তি অবশ্য দ্রগবার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ।